শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান! নবান্ন উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে কালাইয়ে মাছের মেলা কটিয়াদীতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সম্বর্ধনা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে হবে: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু
৬৫ বছর পর ফুটল মোহনীয় রুপের শ্বেতপদ্ম

৬৫ বছর পর ফুটল মোহনীয় রুপের শ্বেতপদ্ম

‏শেখ ইমন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ ৬৫ বছর পর ঝিনাইদহের শৈলকুপার হাবিবপুর পদ্মবিলের বুক ফের ছেয়ে গেছে পদ্মপাতার সতেজ সবুজে। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে সেই সবুজের পরতে পরতে জেগে উঠেছে শ্বেতপদ্মের দল।
মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হাবিবপুরের মানুষ। দলে দলে তারা আসছেন অনিন্দ্য সুন্দর এই দৃশ্য উপভোগ করতে। নতুন প্রজন্মকে দেখাতে এসেছেন পদ্মবিলের সেই পদ্মবিলাস।

স্থানীয়রা জানান, বহু আগে গ্রামাঞ্চলে পদ্মপাতায় বড় বড় মেজবান খাওয়ানো হতো। বর্তমানে প্রকৃতির এই অপূর্ব দর্শন বিলুপ্ত প্রায়। হাবিবপুরের এই পদ্মবিলের বর্তমান মালিক কবিরপুর গ্রামের সুজন মণ্ডল।দীর্ঘ ৬৫ বছর পর হাবিবপুর পদ্মবিলের বুক ফের ছেয়ে গেছে পদ্মপাতার সতেজ সবুজে।

তিনি জানান, এর আগে বাপদাদাদের কাছেই কেবল শুনেছেন হাবিবপুর পদ্মবিলের কথা। আজ থেকে প্রায় ৬৫ বছর আগের সে সময় এ বিলের কয়েকশ বিঘা জমি শুধুই পদ্মপাতায় ছেয়ে থাকত। সময়ের সঙ্গে তা হারিয়ে যায়। গত আট বছর আগে এ বিলের কয়েক বিঘা জমিতে তিনি একটি মাছের ঘের খনন করেন। তখন মাটির নিচ থেকে পদ্মের শিকড় বা শালুক জাতীয় কিছু উঠতে দেখেছিলেন। সেখানে পানি জমা শুরুর পর ধীরে ধীরে পানির নিচ থেকে ভেসে উঠতে শুরু করে পদ্মপাতা। বর্তমানে ঘেরের পুরোটাই ছেয়ে গেছে সেই পাতা আর বড় বড় সাদা পদ্মফুলে। বিলুপ্তপ্রায় জলজ এ উদ্ভিদটি স্থানীয় প্রশাসন সংরক্ষণ করতে চাইলে তার কোনো আপত্তি নেই বলে জানান।

দীর্ঘ ৬৫ বছর পর পদ্মবিলের বুক ফের ছেয়ে গেছে পদ্মপাতার সতেজ সবুজে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পদ্ম খুবই পবিত্র একটি ফুল। কারণ এতে বিরাজ করেন ভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী।
পদ্মবিলের এই দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  কানিজ ফাতেমা লিজা। তিনি জানান, হাবিবপুর বিলের পদ্মফুল দেখে মুগ্ধ তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টও দিয়েছেন। প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা বিবেচনায় তিনি বিলটি সংরক্ষণে এর মালিকের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।

পদ্মবিল সংরক্ষণে ইউএনওর এই ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়েছে স্থানীয়দের মাঝেও। তারা বলছেন, কালের বিবর্তনে প্রকৃতির বুক থেকে হারিয়ে গেছে এমন অনেক কিছুই। পদ্মবিলটি যদি সংরক্ষণ করা যায় তবে সেটি যেমন পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তেমনি নতুন প্রজন্ম প্রকৃতির এক মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পাবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com